Rules & Regulations

"বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম"

'সি এফ ও' সংগঠনের সকল নিয়মাবলী বা নীতিমালা সমূহ:

০১, সকল সদস্যের সমান অধিকার নিশ্চিতে সকলেই সচেষ্ট থাকিব এবং সকল সদস্যের সমান অধিকার সর্বস্তরে গণ্য হইবে।

০২, সকল সদস্যের মতামত অনুযায়ী প্রত্যেক মাসে ৫,০০০/= (পাঁচ হাজার) টাকা সঞ্চয় ধার্য করা হইয়াছে। যাহা পুনরায় আলোচনা সাপেক্ষে সংযোজন এবং বিয়োজন করা যেতে পারে।

০৩, সকল সদস্য প্রতিমাসের ০১ (এক) তারিখ হইতে ২০ (বিশ) তারিখের মধ্যে সঞ্চয় পরিশোধ করিতে বাধ্য থাকিবে। অন্যথায় জরিমানাসহ প্রদান করিতে হইবে। জরিমানার ক্ষেত্রে কোন প্রকার মার্জনা প্রদর্শন করা হইবে না। উল্লেখ্য যে, জরিমানা কারো ব্যক্তিগত সঞ্চয় হিসেবে গণ্য হইবে না, যা সংগঠনের অতিরিক্ত আয় হিসেবে ধার্য হইবে।

০৪, মাসিক সঞ্চয়ের টাকা ২০ (বিশ) তারিখের মধ্যে পরিশোধ না করিলে মূল সঞ্চয়ের টাকার সাথে পরবর্তী মাসের আগে ৫০/= (পঞ্চাশ) টাকা জরিমানা সংযুক্ত হইবে এবং তার পরবর্তী মাসেও যদি কোন সদস্য মাসিক বকেয়া পরিশোধ না করেন উক্ত ক্ষেত্রে পরবর্তী মাসে আরো ৫০/= (পঞ্চাশ) টাকা তথা মোট ১০০/= (একশত) টাকা জরিমানা পরিশোধ করিতে হইবে যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মূল সঞ্চয়ের সাথে যুক্ত হইবে।

০৫, কোন সদস্য যদি একটানা ০৩ (তিন) মাস মূল সঞ্চয় পরিশোধ না করেন অথবা টানা ০৩ (তিন) টি সঞ্চয় বকেয়া করেন উক্ত ক্ষেত্রে পরবর্তী মাস বা চতুর্থ মাস হইতে সকল প্রকার জরিমানার দ্বিগুণ হারে ধার্য করা হইবে।

০৬, যদি কোন সদস্য ০৬ (ছয়) মাসের অধিক সঞ্চয় পরিষদে ব্যর্থ হন উক্ত সময়ে সংশ্লিষ্ট সদস্যের 'আইডি' বা 'শেয়ার' স্বয়ংক্রিয়ভাবে সার্ভারে 'নিষ্ক্রিয়' (Inactive) হইয়া যাবে। 'আইডি' বা 'শেয়ার' সার্ভারে 'নিষ্ক্রিয়' (Inactive) হইলে ৫০০/= (পাঁচশত) টাকা সক্রিয়করণ (Activation) চার্জ এবং বিগত ০৬ (ছয়) মাসের পূর্বের সঞ্চয়ের জরিমানা সহ বকেয়া টাকার ২.৫% (শতাংশ বা শতকরা) হারে জরিমানা পরিশোধপূর্বক আইডি 'সক্রিয়' (Active) করিতে হইবে। নিষ্ক্রিয় (Inactive) হওয়া 'আইডি' বা 'শেয়ার' এর ক্ষেত্রে উক্ত সময়ে কমিটির দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ যোগাযোগ গ্রুপে ঘোষণা করিয়া সকলকে অবগত করিবেন। নিষ্ক্রিয় (Inactive) ঘোষণা করার পরেও যদি উক্ত সদস্য অনতিবিলম্বে ০১ (এক) মাসের মধ্যে আইডি 'সক্রিয়' (Active) করণ এবং জরিমানাসহ বিগত সময়ের বকেয়া টাকা পরিশোধ না করেন তাহলে যৌথ সভার মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হইবে। উল্লেখ্য যে, সকলের সম্মতিক্রমে যেকোনো সিদ্ধান্ত উক্ত সদস্য মানিতে বাধ্য থাকিবে।

০৭, সকল সদস্যকে সংগঠনের অগ্রগতির স্বার্থে ০৬ (ছয়) মাস অন্তর অন্তর মূল সঞ্চয়সহ উদ্ধৃত টাকা সংযোজন করিতে হইবে। এছাড়াও বড় ধরনের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এককালীন উদ্ধৃত টাকা দিতে বাধ্য থাকিবে। এক্ষেত্রে সকল সদস্যের মতামত অনুসারে বৈঠকের মাধ্যমে টাকার অংক নির্ধারণ করা হইবে।

০৮, সংগঠনের সকল কার্যক্রম 'সি এফ ও' এর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পরিচালিত হইবে। যেখানে সকল সদস্যেকে 'সি এফ ও' কর্তৃক "সদস্যতা আইডি" এবং "পাসওয়ার্ড" প্রদান করা হইবে। সংগঠনের কম্পিউটারে গণনা ফলের স্থায়ী প্রতিলিপি তথা ওয়েবসাইটে সদস্যগণের ব্যক্তিগত তথ্য এবং সকল সঞ্চয়ের বিস্তারিত বর্ণনা উল্লেখিত থাকিবে। ওয়েবসাইটে সার্ভার জনিত যেকোনো প্রকার জটিলতায় নিজ উদ্যোগে কার্যনির্বাহী কমিটির তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদকের নিকট অবগত করিতে হইবে।

০৯, সঞ্চয়ের টাকা পরিশোধ করার জন্য 'সি এফ ও' এর নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিজ নিজ আইডি থেকে অনুরোধ প্রদান করিয়া উক্ত সময়ের মধ্যে সংগঠনের মাসিক কিস্তির জন্য নির্ধারিত যৌথ ব্যাংক একাউন্টে টাকা প্রদান করিতে হইবে। নিজ সঞ্চয়ের টাকা সংগঠনের যৌথ ব্যাংক একাউন্টে যোগ হওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত যা ওয়েবসাইটে সঞ্চয়ের অনুরোধ অপেক্ষমান দেখাবে এবং পর্যায়ক্রমে সঞ্চয়ের অনুরোধ এবং ব্যাংক একাউন্টে পাঠানো টাকার সমন্বয়ে পরিষদ হিসেবে গণ্য হইবে। যেকোনো জটিলতায় তাৎক্ষণিক সংগঠনের যোগাযোগ গ্রুপে অবগত করিতে হইবে, নির্দিষ্ট নিয়মে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অভিযোগ না করিলে পরবর্তী সময়ে কোন প্রকার অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হইবে না।

১০, নিজ সঞ্চয়ের টাকা পরিশোধ করার পর মোবাইলে খুদে বার্তা (+৮৮ নাম্বারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য) এবং ই-মেইলে পরিশোধিত টাকার রসিদ ও বিগত সঞ্চিত টাকার বিবরণ সহকারে পিডিএফ ফাইলে প্রদান করা হইবে ( সকলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য) এবং প্রত্যেক মাসের ২৭ (সাতাশ) তারিখে 'সি এফ ও' সংগঠনের সকলের যৌথ লেনদেনের বিবরণী পিডিএফ ফাইলে ই-মেইলের মাধ্যমে সকলকে প্রদান করা হইবে। উক্ত কার্যক্রমটি সার্ভার থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সকলের ই-মেইলে পৌঁছে দেয়া হবে যা নিজ দায়িত্বে প্রমাণ স্বরূপ সংরক্ষণ করিতে পারিবেন।

১১, সদস্যদের মধ্যকার কোন প্রকার ব্যক্তিগত লেনদেন সংগঠনের লেনদেন হিসেবে গণ্য হইবে না, যা একান্তই ব্যক্তিগত। তদ্রূপ, সংগঠন থেকেও সদস্যগণ কোন প্রকার ঋণ বা ধার করিবার সুযোগ থাকিবে না।

১২, সংগঠন পরিচালনার স্বার্থে দুই বছর অন্তর অন্তর নির্বাচনের মাধ্যমে পরিচালনা পর্ষদ (কমিটি এবং হিসাব ধারক) নির্বাচিত করা হইবে। উল্লেখ্য যে, পরিচালনা পর্ষদ বা কমিটির জন্য ০৬ (ছয়) টি পদ নির্ধারণ করা হইয়াছে যা, (ক) সভাপতি (খ) সাধারণ সম্পাদক (গ) অর্থ সম্পাদক (ঘ) প্রচার সম্পাদক (ঙ) তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদক এবং (চ) যৌথ হিসাব রক্ষক। সংগঠনের সকল নির্বাচিত কমিটির সদস্যগণের নামের নিম্নভাগে পদবী ওয়েবসাইটে সুস্পষ্ট ভাবে দেওয়া থাকিবে। সংগঠনের সকল নিয়মাবলীর আওতায় পরিচালনা পর্ষদের কোন নির্বাচিত পদবীধারী ব্যক্তি তার পদ থেকে বহিষ্কার, অপারগ বা পদত্যাগ করিলে উক্ত পদে অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাচনের মাধ্যমে সাধারণ সদস্য হইতে সংশ্লিষ্ট পদে নিয়োগ প্রদানে বাঁধা থাকিবে না।

১৩, অবশ্যই নির্বাচিত কমিটির সদস্যগণ সকল সাধারণ সদস্যের কথা আমলে নিয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত দিতে পারিবেন। কমিটি বা সাধারণ সদস্যগণের কোন প্রকার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য হইবে না।

১৪, ২০২৩ - ২০২৪ অর্থবছরে সকল সদস্যের মতামত অনুসারে কমিটি সিদ্ধান্তে অনুমেয় হয়েছে যে মোট 'সদস্য' বা 'শেয়ার' সংখ্যা সর্বোচ্চ ২৪ (চব্বিশ) জন বহাল থাকিবে। এবং গত ৩১-১২-২০২৩ তারিখের আগে যে সকল সদস্যবৃন্দ ছিলেন তাহারা ধৌত শেয়ার ক্রয় করিতে পারিবেন, তবে দুইয়ের অধিক নহে। উক্ত বিষয়ে সর্বশেষ গত ৩১-১২-২০২৩ তারিখের মধ্যকার সদস্যগণের মতামত অনুসারে আংশিক পরিবর্তন করার সুযোগ রইয়াছে যা অতি ক্ষীণ। উল্লেখ্য, ২০২১ - ২০২২ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ১২ জন সদস্য বা শেয়ারের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তা শিথিল করা হইয়াছে।

১৫, সংগঠনের উদ্দেশ্য ঢাকায় জমি ক্রয় এবং প্রত্যেককে এক ইউনিট করে আবাসনের ব্যবস্থা করে দেওয়া। সংগঠনের অর্থ জমি ক্রয় এবং ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট ব্যতীত অন্য কোন খাতে বিনিয়োগ করা যাইবে না। তবে পরবর্তীতে অবশ্যই সকলের মতামত অনুসারে উক্ত বিষয়ে পরিবর্তন করা যেতে পারে যাহা এখন বিবেচ্চ নহে।

১৬, সঞ্চিত টাকা সংগঠনের ০৩ (তিন) বছর পূর্তিতে বা টাকার অংকের উপর ভিত্তি করে ০৫ (পাঁচ) বছরের মধ্যেই জমি ক্রয় বা বিনিয়োগ করা হইবে। পর্যায়ক্রমে যেকোনো বিনিয়োগের আগে সকল সদস্যের মাসিক সঞ্চয় বকেয়া রাখিতে পারিবেন না।

১৭, জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে যে কোন লাভজনক এলাকায় নির্ভেজাল জমিতে বিনিয়োগে কোন প্রকার বাধা থাকিবে না তবে তা আলোচনা সাপেক্ষে।

১৮, সংগঠনের আর্থিক নিরাপত্তার স্বার্থে প্রত্যেক মাসের শেষ লেনদেনের ব্যাংক মেসেজ যৌথ যোগাযোগের 'গ্রুপে' প্রদান করিবে। উল্লেখ্য যে, সকল সদস্য যেকোনো সময় ব্যাংক মেসেজ দেখার অধিকার রাখিবে। উক্ত কার্যক্রমটি নির্বাচিত অর্থ সম্পাদক প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবেন।

১৯, সংগঠনের যৌথ ব্যাংক একাউন্টের আর্থিক নিরাপত্তার স্বার্থে ০৬ (ছয়) মাস অন্তর অন্তর প্রয়োজন সাপেক্ষে হিসাব বিবৃতি (ব্যাংক স্টেটমেন্ট) যোগাযোগ গ্রুপে প্রদান করিবেন। যাহা কার্যনির্বাহী কমিটি আলোচনা সাপেক্ষে নিজ দায়িত্বে দিতে বাধ্য থাকিবেন।

২০, ব্যাংকের যৌথ হিসাব বা একাউন্ট এবং এফডিআর এর ক্ষেত্রে যেহেতু ০৩ (তিন) বা ০৪ (চার) জন ব্যক্তির অধিক ব্যাংকিং নিয়ম অনুসারে প্রযোজ্য নয় তাই সকলের মতামত অনুসারে ০৩ (তিন) জনকে নিয়মিত ব্যাংক হিসাবের জন্য ব্যাংক হোল্ডার এবং ০৪ (চার) জনকে ব্যাংক এফডিআর হিসাবের জন্য নির্ধারণ করা হইয়াছে। 'সি এফ ও' সংগঠনের বর্তমানে দুইটি বেসরকারি ভিন্ন ব্যাংকে, একটি যৌথ নিয়মিত হিসাব এবং একটি যৌথ এফডিআর হিসাব রয়েছে। ব্যাংক হিসেবের যাবতীয় তথ্য এবং ব্যাংক হোল্ডারদের নাম যা সংগঠনের ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত রয়েছে। ব্যাংক হোল্ডারদের উপর ব্যাংকে জমানো টাকার সকল দায়ভার ন্যস্ত থাকিবে।

২১, ব্যাংক একাউন্টের টাকার প্রাকৃতিক বা আন্তদেশীয় জটিলতা বা ব্যাংকিং ক্ষয় ক্ষতি ছাড়া সকল প্রকার ক্ষতির দায়ভার ব্যাংক হোল্ডারগণ নিতে বাধ্য থাকিবেন।

২২, কোন সদস্য সংগঠনের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট খাতে দুর্নীতি বা প্রতারণা করিলে প্রমাণ সাপেক্ষে তাহার সদস্য পদ (সদস্যতা আইডি বা শেয়ার) বাতিল করা হইবে এবং উক্ত সদস্যের জমানো সঞ্চয় বাজেয়াপ্ত করা যেতে পারে। দুর্নীতিগ্রস্ত সদস্য উক্ত বিষয়ে কোন প্রকার আইনি সহযোগিতা পাইবেন না।

২৩, উক্ত সংগঠনের সর্বনিম্ন মেয়াদকাল ১০ (দশ) বছর নির্ধারণ করা হইয়াছে। পর্যায়ক্রমে ইহার মেয়াদকাল বাড়ানোর পরিকল্পনা রইয়াছে।

২৪, সংগঠনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সদস্যদের বাক-বিতণ্ডা বা কোন প্রকার ব্যক্তিগত আক্রমণ অথবা ঝগড়া সংগঠনের নীতি বহির্ভূত হিসেবে গণ্য হইবে। পর্যায়ক্রমে উক্ত সদস্যগণের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হইবে।

২৫, সংগঠন সংশ্লিষ্ট বাহ্যিক বিষয় যাহা সংগঠনের সর্বস্তরে ভাবমূর্তি নষ্ট করে এরকম আচরণের সাথে কোন সদস্য জড়িত থাকিলে তাহার সদস্যপদ বা সদস্য আইডি আলোচনা সাপেক্ষে বাতিলের আওতাধীন আসিতে পারে।

২৬, যদি কোন সদস্য স্বেচ্ছায় সংগঠনে ত্যাগ করেন বা সঞ্চয় চালাতে ব্যর্থ হোন অথবা সংগঠন থেকে বাদ পড়েন উক্ত ক্ষেত্রে তাহার সঞ্চয়ের টাকা সংগঠনের মেয়াদ শেষে বিনা লাভে শুধুমাত্র সঞ্চিত টাকা বুঝিয়া পাইবেন। উল্লেখ্য, বাদ পড়া সদস্যের ক্ষেত্রে যৌথ সভা সম্পাদিত করে নীতিমালার আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হইবে। উক্ত ক্ষেত্রে কোন প্রকার সহানুভূতি বা অনুনয় প্রযোজ্য হইবে না।

২৭, 'সি এফ ও' এর সকল সভা ভার্চুয়ালি "হোয়াটসঅ্যাপ" গ্রুপ (যোগাযোগের মাধ্যম) বা শারীরিক সভার মাধ্যমে সম্পাদিত হবে। সকল সভা সম্পাদনের পর উক্ত সভার বিষয়বস্তু বা সিদ্ধান্ত যোগাযোগের গ্রুপে এবং সংগঠনের ওয়েবসাইটে নোটিশ বোর্ডে লিপিবদ্ধকরণ করার মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হইবে। 'সি এফ ও' এর সকল সভায় সকলের শতভাগ উপস্থিতি থাকা বাধ্যতামূলক। তবে কোন সদস্য না থাকিতে পারিলে যোগাযোগ গ্রুপে সেই মর্মে অবগত করিতে হইবে।

২৮, সংগঠনের যেকোনো জটিল সিদ্ধান্ত সভা সংগঠিত করে ভোট দানের মাধ্যমে সুরাহা করা হইবে। এতে সংখ্যাগরিষ্ঠ জয় যুক্ত হিসেবে বিবেচ্চ হইবে।

২৯, কোন সদস্য মারা গেলে বা শারীরিক-মানসিক অক্ষমতার শিকার হইলে যাচাই পূর্বক উক্ত সদস্য পদ স্থগিত করিয়া সদস্য তাহার পূর্ববর্তী সকল সঞ্চয়ের অর্থ এবং সংগঠনে যুক্ত হওয়ার তারিখ হইতে যৌথ লভ্যাংশ থেকে সমান হারে অর্থ বুঝিয়া পাইবেন। উপরিক্ত কার্যক্রমটি দায়িত্বে থাকা কমিটি জরুরী বৈঠকের মাধ্যমে উক্ত সদস্যের অর্থ বুঝাইয়া দেওয়ার ব্যাপারে দ্রুততার সহিত কাজ করিতে বাধ্য থাকিবে। পর্যায়ক্রমে উক্ত ব্যক্তির নমিনিগণ তাহার অর্থ বুঝিয়া পাইলে উক্ত সদস্যের নাম সংগঠন থেকে বাতিল করা হইবে। তবে, যদি উক্ত সদস্যের অভিভাবক বা নমিনীগণ নীতিমালা মানিয়া সংগঠনে থাকিতে ইচ্ছা পোষণ করেন তাহলেও অন্যান্য সদস্যের কোন আপত্তি থাকিবে না।

৩০, সংগঠনের যেকোনো অর্জনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা কোন প্রকার ক্ষয়ক্ষতি হইলে সকল সদস্য সমপরিমাণ অর্থ বা ক্ষতি বহন করিতে বাধ্য থাকিবেন। তদ্রূপ স্থায়ী অর্জনে সংগঠন হইতে বাদ পড়া সদস্যগণের শেয়ার থাকিলে একই আইন লাগু করা হইবে।

৩১, নতুন সদস্যের সংযুক্তের ক্ষেত্রে কোন প্রকার জরিমানা প্রদান করিতে হইবে না। নতুন সদস্য যুক্ত হয়ার সময়ে সর্বশেষ সঞ্চিত টাকার সমপরিমাণ টাকা দিয়ে যুক্ত হইতে হবে, শুধুমাত্র উক্ত বিষয়ে কমিটির নিজস্ব দায়িত্বে বিশেষ বিবেচনায় ধৌত কিস্তিতে স্বল্প সময়ে পরিষদের সুযোগ প্রদান করিতে পারিবেন। তবে নতুন সদস্য গনের ক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির বায়োডাটা যোগাযোগের গ্রুপে ২৪ (চব্বিশ) ঘন্টা পূর্বে প্রদান করিতে হইবো, যাতে সকল সদস্যবৃন্দ তাহার সম্বন্ধে অবগত থাকেন। নতুন সদস্যর ক্ষেত্রে বর্তমান যে কোন দুইজন সদস্যের মজবুত রেফারেন্স থাকা বাধ্যতামূলক। পর্যায়ক্রমে যৌথ সভা সম্পাদন করিয়া সকল সদস্যের মতামত সাপেক্ষে নতুন সদস্য যুক্ত করা যাইবে।

৩২, 'সি এফ ও' এর ওয়েবসাইটে সকল সদস্যদের তথ্য নির্ভুল এবং জাতীয় পরিচয় পত্র বা পাসপোর্ট অনুযায়ী হতে হবে। ইচ্ছাকৃত কোন সদস্য ভুল তথ্য প্রদান করিলে সংগঠন এতে দায়ী থাকিবে না।

৩৩, সংগঠনের যোগাযোগ গ্রুপ মেসেজে বা আলোচনা সভায় কোন প্রকার রাজনৈতিক আলাপ এবং অশ্লীল ভাষার প্রয়োগ করা যাইবে না, যা নিয়ম বহির্ভূত হিসেবে গণ্য হইবে।

৩৪, পর্যায়ক্রমে সংগঠনের সরকারি রেজিস্ট্রেশন করার উপর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। সংগঠনের স্বার্থে সকল প্রকার সরকারি রেজিস্ট্রেশন বা কর প্রদানের ক্ষেত্রে মোট ব্যয় প্রত্যেক সদস্য সমান হারে পরিশোধ করিতে বাধ্য থাকিবে।

৩৫, সংগঠনের ব্যাংক হিসাব হইতে যেকোনো বিনিয়োগে টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে যৌথ সভার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়া যোগাযোগের গ্রুপে বিবৃতি প্রদান করিতে হইবে এবং পর্যায়ক্রমে চেক বইয়ের মাধ্যমে যেকোনো পরিমাণ টাকা উত্তোলন করা বৈধ। যৌথ সভার সিদ্ধান্ত ব্যতীত ব্যাংক হিসাব হইতে যেকোনো পরিমাণ টাকা উত্তোলন অবৈধ হিসেবে সর্বস্তরে গণ্য হইবে।

৩৬, সংগঠনের মেয়াদকাল শেষে যদি সকল সদস্যবৃন্দ মেয়াদ বৃদ্ধি করিতে অনিচ্ছা পোষণ করেন, উক্ত সময়ের সদস্যগণ লাভ এবং ক্ষতি সমহারে ভোগ করিবেন। উল্লেখ্য যে, সংগঠনের মেয়াদ শেষে সদস্য পদ স্থগিত করা সদস্যগণের যদি কোন পাওনা থাকিয়া থাকে তা আগে বুঝাইয়া দেওয়া হইবে। তবে সংগঠনের মেয়াদকাল পুনরায় সংযোজনের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার সাংগঠনিক জটিলতা থাকিবে না।

৩৭, কোন সদস্য যদি সংগঠন থেকে বাদ পড়েন বা স্বেচ্ছায় চলে যান অথবা মেয়াদ শেষে চলে যান উক্ত ক্ষেত্রে কোন মাসিক বা বাৎসরিক অস্থায়ী লাভজনক আর্থিক খাত হইতে উক্ত সদস্যের অংশীদারিত্ব কর্তন করা হইবে। এক্ষেত্রে সংগঠনে থাকা সদস্যগণই ইহার সুবিধা ভোগ করিতে পারিবেন। উল্লেখ্য যে, উক্ত সদস্য থাকাকালীন অবস্থায় ক্রয় কৃত স্থায়ী সম্পত্তির হার অনুপাতে সমান মালিকানা বহাল থাকিবে। তবে তাহা সংগঠনের মেয়াদকাল শেষ হইবার পর বুঝিয়া পাইবেন। উক্ত সদস্যের সকল পাওনা বুঝিয়া পাইবার পর সংগঠন হইতে পরবর্তীতে আর কোন প্রকার দাবি দাওয়ার অধিকার রাখিবে না।

৩৮, সংগঠনের অর্জিত স্থায়ী সম্পদে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সংগঠন থেকে সকল বাদ পড়া সদস্যগণ সমানুপাতিক অংকে বিনিয়োগ করিতে হইবে। বাদ পড়া সদস্যদের মধ্যে উক্ত বিনিয়োগে কেউ যদি অনিচ্ছুক বা অপারগ হন বর্তমান বাজার দর হিসেবে তাহার হাড়ের সম্পত্তি সংগঠনের কাছে বিনিময় করিতে বাধ্য থাকিবেন।

৩৯, কোন সদস্য যদি সদস্য পদ, আইডি বা শেয়ার সংগঠনের অন্য সদস্যের নিকট বিনিময় করিতে চায় সংগঠনের বাকি সদস্যদের মতামত সাপেক্ষে করিতে পারিবেন। তবে, হস্তান্তর চাঁদা স্বরূপ ৫,০০০/= (পাঁচ হাজার) টাকা কর্তন করা হইবে। তথা, সংগঠনের সদস্য ব্যতীত অন্য কারো কাছে বিনিময় করিতে চাইলে উক্ত ব্যক্তি সংগঠনের নিয়মাবলির ও নীতিমালার আওতায় সকল সদস্যের মনোভূত হইতে হইবে। এক্ষেত্রে উক্ত সদস্য নিজ শেয়ার বিনিময়ের জন্য আবেদন করিলে ০৩ (তিন) মাস কার্য দিবস পর্যন্ত উপরিক্ত শর্ত বহাল থাকিবে। অন্যথায়, পরবর্তীতে উক্ত সদস্যের 'আইডি' বা 'শেয়ার' স্থগিত করা হইবে। যাহা সংগঠনের মেয়াদকাল শেষ হইবার পর শুধুমাত্র সঞ্চিত অর্থ বুঝিয়া পাইবেন।

৪০, সংগঠনের সকল নিয়মাবলী সদস্যগণ সংগঠনের সাথে সংযুক্ত হইবার আগেই সকলে অবগত হইয়াছে বলে বিবেচ্য হইবে। উল্লেখ্য যে, কোন একক সদস্যের স্বার্থ সংগঠনের নীতিমালার উর্ধ্বে নহে।

৪১, 'সি এফ ও' এর সকল সদস্যের ব্যক্তিগত তথ্য-উপাত্ত এবং সংগঠনের নীতিমালা সহ কম্পিউটারে গণনাফলের স্থায়ী প্রতিলিপিতে পুনরায় সকল নীতিমালা স্বজ্ঞানে পড়িয়া, বুঝিয়া এবং মানিয়া সহি প্রদান করিয়াছে বলে বিবেচ্য হইবে। যে কোন সদস্যের নীতিমালা সংযোজিত ব্যক্তিগত তথ্য ফর্মে সহি প্রদান করিয়া কমিটির অনুমোদনপূর্বক স্থায়ী প্রতিলিপিতে "সদস্যতা আইডি" বা "শেয়ার" লিপিবদ্ধ না থাকিলে তাহাকে সদস্য হিসেবে গণ্য করা হইবে না। তদ্রুপ অনুমোদিত সদস্যের স্থায়ী প্রতিলিপি প্রমাণস্বরূপ সংগঠনের নিকট সংরক্ষিত থাকিবে এবং সদস্যগণ নিজ দায়িত্বে "সদস্যতার" প্রমাণস্বরূপ এক কপি প্রতিলিপি সংরক্ষণ করিবেন।

৪২, সংগঠনের সকল সদস্যের মতামত ব্যতীত বর্তমান সময়ে নীতিমালা কোন প্রকার পরিবর্তন বা সংস্করণ করা অবৈধ হিসেবে বিবেচ্য হইবে। ভবিষ্যতে নীতিমালা বহির্ভূত যেকোনো অপ্রাসঙ্গিক বিষয় যা নীতিমালায় লিপিবদ্ধ হয়নি উক্ত বিষয়ে সকল সদস্যের মতামতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইবে, যা নীতিমালার সমমান হিসেবে বিবেচ্য হইবে। বর্তমান নীতিমালার আলোকে যেকোনো অবস্থতায় সদস্যগণের আইনী সহযোগিতা গ্রহণ বৈধ বলে গণ্য হইবে।

.............................................................

বিশেষ দ্রষ্টব্য: উপরিক্ত নিয়মাবলী বা নীতিমালা স্বজ্ঞানে উপলব্ধি করিয়া এবং অন্যের বিনা প্ররোচনায় সকল সদস্যর সহিত একত্বতা পোষণ করিয়া 'সি এফ ও' সংগঠনে যোগদান করিয়াছি।

অতএব, নিয়মাবলীর ঊর্ধ্বে আমরা কেউ নহে।